মূল্যস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে, বেতন-ভাতা সেভাবে বাড়েনি , এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইএলওর এসএমই বিশেষজ্ঞ গুনজান দালাকোটি, প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ইগোর বস, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক অ্যানি ডং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজারের ব্যর্থতায় মূল্যস্ফীতির হার বাড়েনি। আমাদের বাজার এখন বিশ্ববাজারের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। অন্যান্য বাজারের চাপ আমাদের এখানে নানাভাবে পড়ছে।
এ দেশে যেভাবে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি পায়, তা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেলে অর্থনীতিতে স্বস্তি আসবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার পকেটে ১০০ টাকা আছে, কেউ আরও ১০ টাকা দিলে কিছুটা ভালো লাগবে। তেমনি আইএমএফের ঋণেও কিছুটা সাময়িক স্বস্তি মিলবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার অস্বস্তিতে নেই, সবাই বাজারে যায়।
বিষয়টা এমন নয় যে আজকে দাম এক, কাল হঠাৎ করে আরেক দাম। এমনিতেই কার্তিক মাসে ঘরের চাল কমে যায়, এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। মাসের শুরুতে পকেটে যেমন থাকবে, মাসের শেষেও তেমন থাকবে, তা নয়। মাসের শেষে পকেটে অভাব থাকবে।
আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি ডলার পেতে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে বাংলাদেশে এসেছে। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা।
আইএলওর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অন্য শ্রমিকসংগঠনগুলোর মতো মজুরি বৃদ্ধির কথা বলেনি আইএলও। তারা শুধু চা-শ্রমিক ও উপকূলীয় জেলেদের মজুরি বৃদ্ধির কথা বলেছে। সম্প্রতি চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।