ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে আমেরিকান সৈন্যরা। তারা দেশটিতে ন্যাটোর অস্ত্র সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করছে বলে পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা সোমবার বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তবে কতজন সেনা প্রবেশ করেছে বা তারা কোথায় অবস্থান করছে তা স্পষ্ট নয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এনবিসি নিউজ এবং পেন্টাগন প্রেস পুলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলাপ কালে কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাদলের নেতৃত্বে রয়েছেন কিয়েভে মার্কিন প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গ্যারিক হারমন।
কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পরিদর্শন হয়েছে। তবে সেগুলো কোথায় হয়েছে তা প্রকাশ না করে তিনি বলেন, চেকগুলি ‘ফ্রন্ট লাইনের কাছাকাছি’ হচ্ছে না, তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুযায়ী যেখানে দরকার সেখানেই হয়েছে।
রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে তার সামরিক অভিযান শুরু করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে তার অস্ত্রের চালান পরিদর্শন করেছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে তারা কর্মীদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিয়েছিল। কতজন সৈন্য ফিরেছে বা কখন চেক পুনরায় শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিল, তারা ইউক্রেন সরকারকে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের জন্য মার্কিন সেনা বরাদ্দ দিবে। যদিও এই কর্মীদের সামরিক পদ থেকে নেওয়া হবে কিনা সে বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে মিডিয়া রিপোর্টের পর এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে যে অস্ত্র পাঠায় তা খুঁজে বের করতে পারেনি।
একটি গোয়েন্দা সূত্র এপ্রিল মাসে সিএনএনকে বলেছিল, অস্ত্রগুলি ইউক্রেনে প্রবেশ করার পর ‘একটি বড় কৃষ্ণ গহ্বরে’ গায়েব হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেন্টাগন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, কিয়েভ ‘স্বচ্ছ’ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং এখন পর্যন্ত পরিদর্শকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে।
আমেরিকানরা নিজেদের ইচ্ছায় ইউক্রেনে যুদ্ধ করা এবং মারা যাওয়ার পর ওয়াশিংটন স্বীকার করেছে যে তাদের সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্রদের সংঘাতে জড়ানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং ঘোষণার আগেও তিনি বলেছিলেন, ক্রেমলিন নিজেকে ইউক্রেনে ‘পুরো পশ্চিমা সামরিক মেশিন’ এর সঙ্গে লড়াই করছে বলে মনে করে।