অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছর ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তা পোক্ত করতে ব্যর্থ হয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। কিন্তু জান্তা সরকারকে টিকে থাকতে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ করে দিয়েছে চীন। আর এতে রয়েছে রাশিয়া ও ভারতের সমর্থন। আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের একটি দল এ কথা বলেছেন। খবর আল-জাজিরার। গতকাল বুধবার এ পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় অগ্রগতির ‘সর্বোচ্চ’ ঘাটতির মধ্যেই এই ‘দৃঢ় ও সমালোচনাহীন’ সমর্থন পেয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, বিশেষ করে বেইজিং ও মস্কোর কাছ থেকে।
আটজন আইনপ্রণেতার দলটি বলছে, সময় এসেছে আসিয়ানের পরিকল্পনা ত্যাগ করা এবং মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক বিরোধীদের প্রতি সমর্থন জোরদার করতে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই আইনপ্রণেতারা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) সহযোগিতায় চার মাস দীর্ঘ একটি তদন্ত চালিয়েছেন।
আইনপ্রণেতারা বলছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যেসব দেশ নিজেদের গণতন্ত্রের পক্ষে দাবি করে থাকে, তাদের অবিলম্বে মিয়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারকে (এনইউজি) দেশটির বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একই সঙ্গে এনইউজি ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জন্য তহবিল সরবরাহ করতে হবে, যাদের সঙ্গে এনইউজি জোটবদ্ধ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবরোধ আরোপ করলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একঘরে হয়ে পড়ে। কিন্তু জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং রাশিয়া, চীন এবং কিছু ক্ষেত্রে ভারতসহ তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন।