গাইবান্ধা উপনির্বাচনের ৫১ কেন্দ্রের প্রতিবেদন পেয়েছি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

গাইবান্ধার উপনির্বাচনের ৫১টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

শ‌নিবার (৫ নভেম্বর) ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মনিটরিং সেল থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষ‌ণের সময় তি‌নি এ কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে পৌঁছেছে। আমরা আজ দেখেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা ৫১ কেন্দ্রের বিষয়ে প্রতিবেদন পেয়েছি। বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের বিষয়ে এখনো জানি না। তাই আরেকটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা ওই ৯৪টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তৈরি করে দেবে। তারপর আমরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেবো।

৫১ কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে কী করল তদন্ত কমিটি? প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ব্যবস্থাটা আমরা এখন নিচ্ছি না। সব কেন্দ্রের প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেবো। আপনারা এ বিষয়ে যথাসময়ে জানতে পারবেন।

৫১ কেন্দ্রে তদন্তে মূল অভিযুক্ত কারা বা কীসের ওপর কমিটি তদন্ত করলো- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তদন্ত করলো আমাদের কি-ওয়ার্ডের ভিত্তিতে। তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে আছে। এটা কনফিডেনশিয়াল। আমরা এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করবো না। আমাদের যে ফাইন্ডিং, আমরা যতটুকু দেখেছি, আরো দেখবো। তারপর পুরোটার ওপর সিদ্ধান্ত নেবো।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ কী, প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন- পুরোটা দেখে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করি সাতদিনের মধ্যে ৯৪টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন পাবো।

তাহলে কী পূর্ণাঙ্গ নয় বর্তমান তদন্ত রিপোর্ট, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বলতে পারেন যে খণ্ডিত তদন্ত হয়েছে। ১৪৫টি কেন্দ্রে একসঙ্গে দেখা সম্ভব হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-এর ৯১ ধারা বলছে কমিশন যেকোনো পর্যায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না বলে প্রতীয়মান মনে করলে আংশিক অথবা পুরো নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা আমাদের প্রজ্ঞা অনুযায়ী পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছি।

দেরির কারণে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ঝুলে যাবে কি-না, আপনি অনিয়মে জড়িদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, একটু অপেক্ষা করুন। পুরো প্রতিবেদন পেতে ৭-১০ দিন সময় লাগবে।

শেয়ার করুন