বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, একটি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে যে মানুষ বসবাস করে তাদের জন্যই সংবিধান। যেমনিভাবে ধর্মের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্যই ধর্ম, তেমনিভাবে সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্যই সংবিধান।
শনিবার জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্র্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে সংবিধান আমাদের উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন, সেটি রক্তের আখরে লেখা সংবিধান। ঐ সংবিধানের প্রতি সকল মানুষের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ছিল। সেখানে ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত এবং আড়াই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত জড়িত ছিল। যে সংবিধানটি ছিল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সকল মানুষের রক্তের আখরে লেখা। সেই সংবিধানে সব মানুষের অধিকার রক্ষা করা হয়েছিল; কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সেটিকে কেটে ফেলা হয়।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতা আরও বলেন, সংবিধান অপরিবর্তনশীল এমন নয়; সংবিধানকে পরিবর্তন সম্ভব, তবে সংবিধানের পরিবর্তনটা কতটা প্রয়োজন ভিত্তিক সেটেই বিবেচ্য বিষয়। জিয়াউর রহমান তাঁর ব্যক্তিস্বার্থের কথা মাথায় এনে সংবিধানের পরিবর্তন করেছিলেন, তথা তিনি কীভাবে রাষ্ট্রটি শাসন করতে পারবেন সেই চিন্তা করে সংবিধান পরিবর্তন করেছিলেন। জনগণের কথা চিন্তা করে করেন নাই। স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদও একই চিন্তা মাথায় এনে সংবিধান পরিবর্তন করেছিলেন। তাদের ঐসব পরিবর্তনের পেছনে কোনো জনসমর্থন ছিল না।