বরিশালে বিএনপি নেতা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলা

বরিশাল প্রতিনিধি

সংগৃহীত ছবি

বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশে আসার পথে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বহরের কয়েকটি গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজার সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হই। পথে পথে নানা স্থানে বাধা দেওয়া হয়। বাধা অতিক্রম আমার গাড়িবহর বরিশালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সকালে গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে সেখানে হামলা করা হয়। আমার পেছনে থাকা কয়েকটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। জানতে পেরেছি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত।’

ইশরাক আরও বলেন, ‘সরকারদলীয় লোকজনদের হামলায় ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া, মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিনসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

এদিকে মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পাল্টা অভিযোগ করে জানান, ইশরাক হোসেনের গাড়িবহর মাহিলাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকালে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি নিষেধ করায় বহরের গাড়ি থেকে নেমে রড ও লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালায়। আমাদের সাত-আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বাধা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাস কবিরাজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার ও ভাঙচুরের অভিযোগ বিষয় জানতে চাইলে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিষয়টি ভালো বলতে পারবো না। তবে শুনেছি গাড়িবহর থেকে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। এটা নিষেধ করতে গেলে বহরের গাড়িতে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজনকে হাসপাতালে ভর্তির খবরও শুনতে পেরেছি।’

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। কোনো পক্ষ থেকেই অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন