টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেড ওভালে ব্যাটে বল লাগলেও সাকিব আল হাসানকে বিতর্কিত লেগ বিফোর দেওয়া হলো। অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়ার চোখে যা ‘ডাকাতি’। ভারত ম্যাচেও বাংলাদেশ ‘মানবিক ভুলের’ ভুক্তভোগী। ওই ‘ভুলেই’ যেন সেমিফাইনালে খেলার ‘স্বপ্ন চুরি’ হলো বাংলাদেশের। ভালোর আশা দেওয়া দলটা জমা করতে পারলো ১২৭ রান। তবু বোলাররা লড়লেন। ১১ বল থাকতে ৫ উইকেটে হারায় পাকিস্তানের সেমিফাইনালের পথ আটকাতে পারলেন না।
ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত আশায় থাকার কথা জানিয়েছিলেন পাকিস্তান ব্যাটার শান মাসুদ। বাংলাদেশ পেসার তাসকিন বলেছিলেন, অলৌকিক কিছু তো ঘটতেও পারে। দিনের প্রথম ম্যাচেই সেই ‘অঘটন’ কিংবা ‘অলৌকিক ঘটনা’ ঘটে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিদায় করে দেয় নেদারল্যান্ডস। এক ম্যাচ থাকতে ভারতকে সেমিফাইনালে তুলে দেয়। স্বপ্ন বাঁচিয়ে দেয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। শেষ চারের প্রত্যাশা পূরণ হলো পাকিস্তানের।
অ্যাডিলেডে প্রোটিয়াদের হার দেখে মাঠে নামেন সাকিবরা। একাদশে তিন পরিবর্তন এনে টস জিতে ব্যাটিং নেন টাইগার কাপ্তান। লিটন দাস ফিরে যান ১০ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত। সৌম্য ২০ রান করে ফিরে যান। দলের রান তখন ১০.৪ ওভারে ৭৩। ওখান থেকে রানটা অনায়াসে ১৪০ ছোঁয়া হতে পারতো। কিন্তু পরের বলেই ‘ভুল আউটের’ শিকার হন সাকিব। মোমেন্টাম হারায় বাংলাদেশ।
মানসিক বাধা, বা অন্য কারণে ওই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি শ্রীধরন শ্রীরামের শিষ্যরা। নাজমুল শান্ত ৪৮ বলে সাতটি চারের মারে ৫৪ রান করে ফিরতেই বিপর্যয়ে পড়ে। মোসাদ্দেক (১) ও নুরুল হাসান (০) ব্যর্থ হয়ে শাহিন আফ্রিদির ১৭তম ওভারে ফিরে যান। কোনোরকম লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন ২০ বলে ২৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন।
জবাব দিতে নেমে ধুঁকে ধুঁকে ব্যাটিং করতে থাকেন অফ ফর্ম যাওয়া দুই পাকিস্তান ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। তারা ১০.৩ ওভারে ৫৭ রান তোলেন। বাবর ফিরে যাওয়ার আগে ৩৩ বলে ২৫ রান করেন। রিজওয়ান খেলেন ৩২ বলে ৩২ রানের ইনিংস। পরে নওয়াজ ১১ বলে ৪ করে আউট হন। তাদের ধীর ব্যাটিংয়ের ক্ষতি মোহাম্মদ হারিস ১৮ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ৩১ রানের ইনিংস খেলে পুষিয়ে দেন। শান মাসুদ ১৪ বলে ২৪ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বিতর্কের বাইরে পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শাহিন আফ্রিদি। তিনি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দুই উইকেট নেওয়া শাদাব ৩০ রান খরচ করেন। হারিস রউফ ৪ ওভারে ২১ ও ইফতিখার ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। এছাড়া সাকিব ও এবাদত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।