পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। রোববার (৬ নভেম্বর) বুকোবা অঞ্চলের ভিক্টোরিয়া লেকে প্লেনটি আছড়ে পড়লে প্রানহানির এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়ার বরাত দিয়ে সোমবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়ায় রোববারের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৯ জনে পৌঁছেছে। বাণিজ্যিক রাজধানী দারুস সালাম থেকে ছেড়ে আসা বিমানটি ঝড়ো আবহাওয়ায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুকোবাতে মাজালিওয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকল তানজানিয়াবাসী এই ১৯ জনের মৃত্যুতে শোকাহত… যারা বিমান দুর্ঘটনায় তাদের জীবন হারিয়েছে।’
আঞ্চলিক কমিশনার আলবার্ট চালামিলা জানান, বিমানটিতে ৩৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট এবং দুই কেবিন ক্রুসহ মোট ৪৩ জন আরোহী ছিলেন।
এর আগে দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং এয়ারলাইন সংস্থা বলেছিল, পিডব্লিউ ৪৯৪ ফ্লাইটে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কাগেরা অঞ্চলের বুকোবা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে উদ্ধার তৎপরতার সময় কেউ প্রাণ হারিয়েছেন কিনা এখনও তা স্পষ্ট নয়।
চালামিলা বলেন, ‘আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। দুজন ব্যক্তি প্লেনের আরোহী না হলেও দুর্ঘটনার পর উদ্ধার প্রচেষ্টার সময় মারা গেছেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।’
তানজানিয়ার বৃহত্তম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিমান সংস্থা প্রেসিশন এয়ার জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের পাঠিয়েছে। এছাড়া কাগেরা প্রদেশের পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম এমওয়াম্পগালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করতে পেরেছি।’
তিনি জানান, ‘যখন বিমানটি প্রায় ১০০ মিটার ওপরে ছিল, তখন এটি খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। এসময় বৃষ্টি হচ্ছিল এবং বিমানটি পানিতে তলিয়ে যায়। এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।’