নিজেদের চলমান আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজও বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পেতে এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মামলা থেকে মুক্তি এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এই লড়াই আমরা আরও এগিয়ে নেবো।
তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের শপথ দেশনেত্রীকে মুক্তি, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনবো। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো।
৭ নভেম্বর পালন উপলক্ষে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা তাকে মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এ জন্যই এই দিনটি দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয়। এটি দেশের মানুষের কাছে ছিল যুদ্ধপরবর্তী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত করার দিন। বাংলাদেশের শত্রুদের পরাজিত করে দেশপ্রেকি সৈনিক জনতা বাংলাদেশকে রক্ষা করার মূলমন্ত্রে সেদিন উজ্জীবিত হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা পরবর্তীকালে ভয়াবহ একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেখেছি। সেটাকে পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন অর্থনৈতিক ধারা চালু হয়েছিল। মুক্ত অর্থনীতির ধারা চালু হয়। একই সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে একে একে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, কৃষকদল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউট্যাব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), এমট্যাবসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সর্দার মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।