জ্বালানি সংকটের অবসান কবে কীভাবে

অরূণ কর্মকার

চলমান জ্বালানি সংকট দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনও অস্থির করে তুলছে। কবে ও কীভাবে এই সংকটের অবসান হবে সেটিই এখন ভাবনার বিষয়।

জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের প্রধান দুই জ্বালানি পণ্য। প্রথমে জ্বালানি তেলের বিষয়টি ভাবা যাক। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে ঘাটতি কিংবা সরবরাহ সংকট এর কোনোটাই বলা ঠিক নয়। বিশ্ববাজারে তেলের ঘাটতি নেই। কিনে আনতেও কোনো সমস্যা নেই।

সমস্যা হলো কোভিড-১৯ পরবর্তী পৃথিবীতে একযোগে চাহিদা বৃদ্ধি এবং প্রায় একইসঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে উচ্চমূল্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার তথা মার্কিন ডলারের ঘাটতি এবং দামে অস্থিরতা। এই সব কারণে আমরা জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশই এটা করছে।

পাশাপাশি দেশে জ্বালানি তেলের দামও রেকর্ড পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধি কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন আলাদা। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে হয়তো দেশেও কমানো হবে। কতটা কমলে কতটুকু কমানো হবে তা-ও দেখার বিষয়। তবে আমাদের কৃচ্ছ্রতা সাধনের বিষয়টি যে চিরস্থায়ী নয় তা বলাই যায়। বিশ্বপরিস্থিতি শান্ত হলে, বিশ্ববাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে আমরা জ্বালানি তেল ব্যবহারে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাসের বিষয়টি আলাদা। যুদ্ধ শুরুর অনেক আগে থেকেই দেশে চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ-ঘাটতি ছিল। দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে এবং তারও পরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে সেই ঘাটতি একপর্যায়ে যথেষ্ঠ কমানো গিয়েছিল। কিন্তু ইউরোপে যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দামও আকাশচুম্বী হওয়ায় এলএনজির আমদানিও কমিয়ে দিতে হয়েছে। পাশাপাশি দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদনও কমেছে। ফলে ঘাটতি বেড়েছে। সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

যুদ্ধ শেষে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম স্বাভাবিক হলে আমরা আবার আমদানি বাড়িয়ে গ্যাসের ঘাটতি কমাতে পারব। কিন্তু তেলের মতো চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যেকার ব্যবধান একেবারে ঘুচিয়ে ফেলতে পারব না। গ্যাসের ঘাটতি থাকবেই। এবং এই আশঙ্কাও অযৌক্তিক নয় যে, গ্যাসের এই সরবরাহ ঘাটতি বা গ্যাস-সংকট যথেষ্ঠ দীর্ঘায়িত হবে।

কারণ কী

আগেই উল্লেখ করেছি যে, আমাদের গ্যাস সংকট অনেক আগে থেকে চলে এসেছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল দৈনিক ১৭৫০ মিলিয়ন বা ১৭৫ কোটি ঘনফুট যা ওই সময়ের চাহিদার তুলনায় অনেক কম ছিল। এরপর দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক র্কাযক্রম বৃদ্ধির কারণে গ্যাসের চাহিদা বাড়তে থাকে।

সরকার তখন দেশে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়। ফলে ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ গ্যাস উত্তোলন দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট বৃদ্ধি পায়। এই বাড়তি উত্তোলনের সিংহভাগ এসেছিল বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে। ফলে তখন দৈনিক গ্যাস সরবরাহ বেড়ে হয় ২৭৫ কোটি ঘনফুট। কিন্তু ততদিনে গ্যাসের চাহিদা হয় দৈনিক ৩০০ কোটি ঘনফুট।

এরপর আর দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন বাড়েনি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো উদ্যোগও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে বাপেক্স ওয়ার্কওভার (বিদ্যমান কূূপ সংস্কার) করে এবং কিছু কিছু গ্যাসক্ষেত্রে নতুন কূপ খনন করে মাঝে-মধ্যে ৫০ লাখ থেকে দুই-আড়াই কোটি ঘনফুট পর্যন্ত উৎপাদন বাড়িয়েছে। কিন্তু তা ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে যথেষ্ঠ ছিল না। পাশাপাশি দেশের ক্ষেত্রগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে আসা এবং আরও কিছু কারিগরি কারণে প্রতি বছর উৎপাদন কমতে থাকে। ফলে ক্রমান্বয়ে গ্যাসের ঘাটতিও বাড়তে থাকে।

এলএনজি আমদানি

এই ক্রমবর্ধমান ঘাটতি পূরণ এবং সংকট মোকাবিলায় সরকার ২০১০ সাল থেকেই এলএনজি আমদানির উদ্যোগ-আয়োজন শুরু করে। কারণ সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে কী কারণে যেন এই ধারণা বদ্ধমূল ছিল (এখনও যে নেই তা নয়) যে, আমাদের দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের আর কোনো বড় মজুদ নেই। অথচ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা এখনও বলছেন, দেশে এখন র্পযন্ত যে পরিমাণ গ্যাস সন্ধান মিলেছে তার চেয়ে বেশি এখনও সন্ধান মেলেনি। কিন্তু সরকার সেসব কথা বিশেষ একটা আমলে নেয়নি।
শেষ র্পযন্ত ২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয় এলএনজি আমদানি। প্রথমে সরকারি মালিকানার একটি ভাসমান টার্মিনাল অর্থাৎ ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) মাধ্যমে। পরে বেসরকারি মালিকানাধীন আরেকটি এফএসআরইউর মাধ্যমে।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরের বুকে স্থাপিত এই এফএসআরইউ দুটি ব্যবহার করে দৈনিক মোট ১০০ কোটি (এক হাজার মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের সলিমপুর পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপনে বিলম্ব হওয়ায় প্রথম বছর দুয়েক দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনা যায়নি। পরে পাইপলাইন সম্পন্ন হলে দৈনিক ৯০ কোটি ঘনফুটেরও বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এই এলএনজি আমদানি করা হয়। তাতে বিশ্ববাজারে স্বাভাবিক মূল্যপরিস্থিতিতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম পড়ে সময়ভেদে ৬ থেকে ১০ ডলার। এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে দামের বিষয়টি জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে ট্যাগ করা থাকে। ফলে বিশ্ববাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকল তখন এই এলএনজির দামও বাড়তে থাকে যা একপর্যায়ে প্রতি ইউনিট ৪০ ডলারের কাছাকাছি উঠে যায়।

দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির বাইরেও সরকার খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে কিছু এলএনজি আমদানির ব্যবস্থা রেখেছে। কারণ স্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতিতে খোলা বাজারে আরও কম দামে পাওয়া যায় এবং গ্যাসের সরবরাহও নিশ্চিত রাখা যায়। কিন্তু এবার খোলা বাজারে এলএনজির দাম ওঠে ৪৬ ডলারের ওপরে। এই কারণে সরকার এলএনজি আমদানি কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

উল্লেখ্য, আমাদের দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে তোলা গ্যাসের দাম পড়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ৩ ডলার। এই কারণে দেশের গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং তা বাড়ানোর যথেষ্ঠ সুযোগও রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি

এখন আমাদের দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুটের বেশি। সরবরাহ করা যাচ্ছে ২৮০ কোটি ঘনফুটের মত। এর মধ্যে ৫০ কোটি ঘনফুট পাওয়া যাচ্ছে এলএনজি থেকে। ৮০ কোটির মত পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় তিনটি উত্তোলন কোম্পানি থেকে। আর ১৫০ কোটি ঘনফুটের মতো আসছে পিএসসির অধীনে দুটি বিদেশি কোম্পানির পরিচালিত দেশীয় ক্ষেত্র থেকে। এই হিসাবে এখন দৈনিক গ্যাস ঘাটতি ১২০ কোটি ঘনফুট।

বিশ্ববাজার স্বাভাবিক হলে এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে আমরা দৈনিক আরও ৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে পারব। তার বেশি নয়। কারণ আমাদের দুটি এফএসআরইউর সর্বোচ্চ ক্ষমতাই দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট। এরপরও দৈনিক আমাদের গ্যাস ঘাটতি থাকবে ৭৫ কোটি ঘনফুট।

সরকার কী করছে

এই ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথমত, রাষ্ট্রীয় মালিকানার এফএসআরইউটির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এর অপারেটর কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিকে বলা হয়েছে। তাঁরা হয়তো এই ক্ষমতা দৈনিক ২০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। কিন্তু তাতে বছর দুয়েক সময় লাগবে।

এর বাইরে সরকার দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দৈনিক ৬১/৬২ কোটি ঘনফুট (৬১৮ মিলিয়ন) গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু করেছে। যদি ধরে নেওয়া যায়, এই ৬২ কোটি ঘনফুট উত্তোলন বাড়বে। বিশ্ববাজার স্বাভাবিক হবে এবং এলএনজি থেকে আরও ৪৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ বাড়বে। এক্সিলারেট এনার্জিও এফএসআরইউর ক্ষমতা ২০ কোটি ঘনফুট বাড়াবে। এইসব মিলে ২০২৫ সালে আমাদের সর্বমোট সর্বোচ্চ গ্যাস সরবরাহ হতে পারে ৪০৫ কোটি ঘনফুট। কিন্তু ২০২৫ সালে আমাদের দৈনিক চাহিদা ৫০০ কোটি ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে।

এই ঘাটতি পূরণে আরও সময় লাগবে এবং সেই ঘাটতি পূরণ হতে হতে আরও চাহিদা বাড়বে। আমাদের গ্যাস সরবরাহ এই চক্রের মধ্যে আটকে পড়েছে। আগেভাগে দেশের গ্যাস উত্তোলন সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না। এমনকি, বর্তমান সংকটের সময়ও দেশের গ্যাস বেশি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম অপেক্ষাকৃত কম খরচে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সরকার দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি যদি ৩ বছর আগে নেওয়া হতো, তাহলে এখন ওই গ্যাস ব্যবহার করে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পের চাহিদা পূরণে একটা ভাল অবস্থানে থাকতে পারতাম। এখনকার মত এতটা হায় হায় করতে হতো না।

দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী, গবেষক-প্রকৌশলী, এমনকি সাংবাদিকেরাও দীর্ঘদিন থেকে কথা বলে এসেছেন। কিন্তু সাধারণের কাছে অজ্ঞাত কারণে সরকার সেসব কথা উপেক্ষা করে শুধু আমদানি বাড়ানোর পথেই হেঁটেছে। অথচ অন্যান্যদের মত সরকারেরও অজানা নয় যে, জ্বালানির বিশ্ববাজার যেকোনো সময় অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ জ্বালানি একটি কৌশলগত পণ্য যা ছাড়া অর্থনীতি, এমনকি দৈনন্দিন জনজীবনও চলে না। আর এই পণ্যটি রাজনীতি, কূটনীতি, যুদ্ধ প্রভৃতি সকল পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়।

গত এক যুগ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের প্রতিটি মানুষের বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এনেছে। অবকাঠামো উন্নয়নে সাফল্যের নজির সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, ক্ষুধা-দারিদ্র্য প্রভৃতি প্রতিটি সামাজিক সূচকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ববাসীর কাছ থেকে এই অগ্রগতি ও সাফল্যের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আর্থ-সামাজিক এসব উন্নয়নের সঙ্গে জ্বালানি খাতের উন্নয়ন সমান তালে এগিয়ে নেওয়া, জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করার মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকার সফল হয়নি। ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের এই সময় আমাদের সমস্যা যে প্রকটতর হয়েছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

এই সমস্যা থেকে আমরা কবে, কীভাবে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারব তাও অনিশ্চিত। শুধু নিশ্চিত করে বলা যায়, জ্বালানি ঘাটতি থেকে মুক্তি সহসা মিলবে না। সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ২০৩০ সাল নাগাদ তা সম্ভব হতে পারে বলে জ্বালানি খাতের পেশাজীবী-গবেষকদের ধারণা।

অরূণ কর্মকার: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। arkrbd@gmail.com

শেয়ার করুন