সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ১৮২। এটি দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু দেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছেন।
করোনা মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। করোনা শুরুর আগে ২০১৯ সালে ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ওই বছর সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে মারা যান ১৭৯ জন। এতো দিন এটাই ছিল এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকায় ৪৫০ এবং সারাদেশে ৩৭০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ২২৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ৯৪৭ জন। দেশের বিভিন্ন সরকারি জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৭৬ জন।
চলতি নভেম্বরের প্রথম ৮ দিনে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৭৮ জন। এ সময়ে মারা গেছেন ৪১ জন। গত অক্টোবর মাসে ২১ হাজার ৯৩২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ৮৬ জন। সব মিলিয়ে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (৮ নভেম্বর) দেশে ৪৪ হাজার ৮০২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন ৪১ হাজার ৩৯৭ রোগী।