যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল যা-ই হোক না কেন, তাতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক এখন যে রকম তলানিতে ঠেকে আছে, সে রকমই থাকবে বলে মনে করছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক এখন এতটা খারাপ যে, দুই দেশের সম্পর্ক কখনো এতটা তলানিতে ঠেকেনি।
রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কেমন হতে পারে, সে প্রশ্নে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নির্বাচন (আমাদের সম্পর্কে) তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমাদের বিদ্যমান সম্পর্ক খারাপ আর সেটা খারাপই থাকবে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থসহায়তা দিয়ে কিয়েভের প্রধান মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেলে কিয়েভকে সহায়তায় বাইডেনের ক্ষমতা কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে। জেলেনস্কি বলেন, আপনাদের মধ্যে এখন যে রকম অবিচল ঐকমত্য আছে, তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। ইউক্রেনে হামলার কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মস্কোর ওপর একের পর এক নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।