সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং দেশের ডলার সংকটের কারণে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে দুটি ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সীমিত আকারে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
১. বৈদেশিক সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগী/বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়নে প্রদত্ত স্কলারশিপ/ ফেলোশিপের আওতাধীন মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন।
২. বৈদেশিক সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত পেশাগত প্রশিক্ষণ/সেমিনারে অংশগ্রহণ।
সরকার এর আগে করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকালে বিদেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
মে মাসে জারি করা এক নির্দেশনায় অর্থমন্ত্রণালয়– সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব সংস্থাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। সে সময়েও এসব সংস্থার নিজ খরচায় সব ধরনের বিদেশ সফর বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।