মেয়েদের ফুটবলে আন্তর্জাতিক সাফল্য মানেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছ থেকে সংবর্ধনা প্রাপ্তি। ব্যাপারটা অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকারদের। খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনের জন্য উপলক্ষটা একেবারে নতুন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বয়সভিত্তিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেসব দলে খেলেননি স্ট্রাইকার সাবিনা।
প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের একমাত্র অভিজ্ঞ ফুটবলার সাবিনা এবার ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দলকে সাফের ট্রফি জেতাতে বড় অবদান ছিল তার। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে মেয়েদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে আজ বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবর্ধনার পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের ২৩ জন ফুটবলারের প্রত্যেককে ৫ লাখ করে টাকা দিয়েছেন তিনি। কোচ ও কর্মকর্তারা পেয়েছেন দুই লাখ করে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাবিনা বলছিলেন, এটা আমার জন্য স্মরণীয় দিন। খেলাপাগল প্রধানমন্ত্রী এর আগেও অনেকবার আমাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। সর্বশেষ যেবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম, ওই দলে আমি সহকারী কোচ হিসেবে ছিলাম। এবারই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গেলাম, আমার হাতে ছিল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। আমি দলের অধিনায়ক। এবারের অনুভূতি সত্যি অন্য রকম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফের ট্রফিটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন সাবিনা। অধিনায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে আরও অনেক ট্রফি তুলে দিনে চান তিনি। বলেন, আমি যখন ওনার হাতে ট্রফিটা তুলে দিচ্ছিলাম, তখন বলেন, আরও ভালো খেলতে হবে আমাদের। আমরা যেন সব সময় আনন্দঘন মুহূর্ত এভাবে ধরে রাখতে পারি, সেই প্রত্যাশার কথা তিনি আমাদের বলেছেন।
সাবিনা বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। যখনই সাফল্য পেয়েছি, তখনই তাঁর কার্যালয়ে ডেকে আমাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। মেয়েরা সবাই খুবই খুশি।’ সাবিনা ছাড়াও দলের অন্য সব খেলোয়াড়ের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলাদাভাবে কথা বলেছেন বলে জানালেন সাবিনা।