যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পালা শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। সব শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেসের দুই কক্ষেই এগিয়ে রয়েছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে রিপাবলিকান দল পেয়েছে ২০৭ আসন ও বাইডেনের দল ডেমোক্রেট পেয়েছে ১৮৮। অন্যদিকে সিনেটে রিপাবলিকানরা পেয়েছে ৪৯ আসন ও ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ৪৮ আসন। খবর সিএনএনের।
জানা গেছে, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ পেতে একটি দলের প্রয়োজন ২১৮ আসন, আর সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেতে দরকার ৫১ আসন। হাউজের মোট আসন ৪৩৫ ও সিনেটের ১০০।
মূলত এবারে মধ্যবর্তী নির্বাচনে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। পার্লামেন্টের প্রতিনিধি ছাড়াও এদিন বেশ কয়েকটি রাজ্যে গভর্নরেরও নির্বাচন হয়েছে। ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে।
বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, এবারের ভোটে মূলত দুইটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। এক, মূল্যস্ফীতি ও দুই, গর্ভপাত। ভোটের জরিপ বলছে, রিপাবলিকানদের দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। ফলে মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্রেটদের একাধিপত্য এবার কমতে পারে।
বেশ কিছু রাজ্যে ভোটের হার উল্লেখযোগ্য। বলা হচ্ছে, ডেমোক্রেটরা খুব শান্তিতে নেই। এবারের ভোটে তাদের ফলাফল ভালো হবে না বলে আগেই অনেকে ধরে নিয়েছেন। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট দুই কক্ষেই এবার রিপাবলিকানদের একাধিপত্য হবে বলে মনে করছেন অনেকে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আগামী কয়েকবছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
এতদিন কংগ্রেসে বিরাট সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন। উচ্চকক্ষ সেনেটে গিয়ে তাকে বার বার হোঁটচ খেতে হয়েছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানের সংখ্যা বেড়ে গেলে নিম্নকক্ষেও বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে।
তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ। তবে এই ভোটার সংখ্যা পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় আবার কম।