বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আগামী ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বিকেলে তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে এটিই রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর হতে যাচ্ছে। মূলত তিনি ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন।
এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৫ নভেম্বর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তার। এ বিষয়ে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আইওআরএর সদস্য রাষ্ট্র ও ডায়ালগ অংশীদারদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই আমন্ত্রণ পেয়ে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ঢাকা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। সের্গেই ল্যাভরভের এ সফরে দুই দেশের মধ্যে নতুন কোনো চুক্তি হবে না। তবে এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এমন বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশকে নিজেদের পক্ষে চাইবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় বেশ চাপে রয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক রেজুলেশন আনছে বিভিন্ন দেশ। এসব রেজুলেশন বড় ভোটের ব্যবধানে হারছে রাশিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশের সফরের মাধ্যমে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করার চেষ্টায় রয়েছে রাশিয়া।
আইওআরএর বর্তমান সভাপতি বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশের আয়োজনে আগামী ২২ ও ২৩ নভেম্বর সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কমিটি সিএসওর বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। সদস্য রাষ্ট্রগুলো ছাড়াও এ বৈঠকে যোগ দেবে আইওআরএর ডায়ালগ অংশীদাররা। ১৯৯৭ সালে গঠিত হওয়া আইওআরএর সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৩। আর এর ডায়ালগ অংশীদার হিসেবে রয়েছে ১০টি দেশ। ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর দুই বছরের জন্য সংগঠনের সভাপতি হয় বাংলাদেশ।