একে একে পাঁচটা বিশ্বকাপ জমা পড়ে যাচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ঝুলিতে। এবারের বিশ্বকাপটা অবশ্য ঝুলছিল সুতোয়, প্লে অফ খেলে আসতে হয়েছে ফুটবলের বিশ্ব আসরে। তবে এরপরও এবার পর্তুগালের স্কোয়াড দেখে দারুণ আশায় বুক বাঁধছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য এ বার যে দল তৈরি হয়েছে আমাদের, তাতে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেলটা দারুণভাবে হয়েছে। আশা করি, এবার পর্তুগাল বিশ্বকে এটা দেখাতে পারবে যে, সবার সেরা হওয়ার ক্ষমতা আমাদেরও।’
এর আগে আরও চার বিশ্বকাপ খেলায় রোনালদোর অভিজ্ঞতাটা কম নয় মোটেও। তিনিই জানালেন, নতুন প্রজন্মের পর্তুগাল রোমাঞ্চিত করে তুলছে তাকে। বললেন, ‘এক প্রজন্মের সঙ্গে আরেক প্রজন্মের তুলনা করাটা খুবই কঠিন। পর্তুগালের হয়ে অতীতে যারা খেলেছেন অথবা যারা এই মুহূর্তে আছে, তাদের সবাইকেই প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এখানে আসতে হয়েছে। তবে নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের দেখে আমি রোমাঞ্চিত।’
বিশ্বকাপ শিরোপার লক্ষ্যে কাতারে পা রাখছে তার দল। রোনালদো জানালেন, লক্ষ্যপূরণের যথেষ্ট রসদ তার দলের আছে। তিনি বললেন, ‘অবশ্যই বাকি দলগুলির মতো আমরাও বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে এসেছি এবং বিশ্বাস করি এই দল সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
তবে অন্য দলগুলোও অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে আসছে এই বিশ্বকাপে। তাই রোনালদো দলকে সতর্ক করে দিতেও ভুললেন না। বললেন, ‘এখানে বিশ্বের সেরা দলগুলো খেলতে এসেছে। অনেক সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিভারাও নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে এসেছে। এ কারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। এই বিশ্বকাপ নতুন প্রজন্মের তারকাদের হতে চলেছে, যারা চোখের পলকে খেলার গতি বদলে দিতে পারে।’
রোনালদোর পর্তুগাল এবারের বিশ্বকাপে আছে বেশ কঠিন এক গ্রুপে। সাদা চোখে পর্তুগালের গ্রুপ ‘এইচ’কে তেমন কঠিন মনে না হলেও সেই গ্রুপে আছে উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া আর ঘানার মতো দল। তাই প্রতিটি ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে রোনালদোদের।
আগামী ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ঘানার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবেন রোনালদোরা। এরপর ২৯ নভেম্বর উরুগুয়ে ও ২ ডিসেম্বর দ. কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবে দলটি।