নরসিংদীর বেলাবতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দল বেঁধে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিক।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সে দুই ঘণ্টাব্যাপী সভা শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের উপস্থিতিতে ক্ষমা চান তারা। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর আসাদ-উজ-জামান।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে সারোয়ার হোসেন ও শাহরিয়ার তৌফিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক কর্মী হাসপাতালটির ভেতরে প্রবেশ করে এ হামলা ও ভাঙচুর চালান। ওই দিন বিকেলেই ছাত্রলীগের পাঁচজন নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ জনকে আসামি করে বেলাব থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্ষমা চাওয়ায় অভিযোগটি উঠিয়ে নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর আসাদ-উজ-জামান বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতারা ভুল স্বীকার করে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। মন্ত্রী মহোদয়ও আমাদের অনুরোধ করেছেন তাদের ক্ষমা করে দিতে। সার্বিক বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিতভাবে পাঠাব। সেখান থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার পরই লিখিত অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাদ্য ও পথ্য সরবরাহসংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এসব দরপত্র বর্তমানে মূল্যায়ন কমিটির যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। দরপত্র অন্য কেউ পেয়ে যাচ্ছেন, এমন খবরে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগ।