বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো নির্যাতনের কারখানা। আর উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘বারোটা বাজানোর’ প্রথম ধাপ। উপাচার্য নিয়োগে প্রধান পরিচয়ই হচ্ছে সরকারের অনুগত কি না, এমন মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। আজ শনিবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা এবং শিক্ষক’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্যকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আনু মুহাম্মদ বলেন, উপাচার্য হিসেবে সাধারণত এমন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যে লোক যেটা প্রসন্নময় সেটিকে গ্রহণ করবেন, তোয়াজ করবেন। সরকারের বাধ্যবাধকতা বা আনুগত্যই হবে তার প্রধান পরিচয়। তার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটে, শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে যত ধরনের অনিয়ম আছে।
তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করবেন, সেই মানসিক স্থিতি ও নির্ভরতার সুযোগ নেই। তাকে তখন বিচার করতে হয় বড় ভাইয়েরা কী করবেন। বড় ভাইয়েরা মানে সরকারি ছাত্রসংগঠন ছাড়া আর তো কেউ নেই।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাহমান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তানভীর আহমেদ খান, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর, চিকিৎসক আবদুন নূর তুষার প্রমুখ।