কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের পদবাণিজ্যে বিষয়ে রবাবর অভিযোগ থাকলেও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
তারা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে পদবাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য, মাদকসেবী-কারবারি ও অনুপ্রবেশকারীদের পদায়নের যে অভিযোগের কথা বলেছেন আপনারা- এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন। বরং বর্তমান ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত করছি আমরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজন ও প্রস্তুতি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
বরাবরই পদবাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্যসহ নানান বিষয়ে নিয়ে ছাত্রলীগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় ছাত্রলীগকে বির্তকিত কর্মকাণ্ড করে সংবাদের শিরোনাম হতে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
তবে এবার আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন জয়-লেখক।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি জয় বলেন, বিভিন্ন সময় যে পদবাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে- সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। অর্থের বিনিময়ে আমরা কোনো ইউনিটের কমিটি দেইনি। আমরা বারবার বলেছি, কেউ যদি পদবাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে, আমরা সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমরা বেশকিছু অডিও শুনেছি, কিন্তু সেগুলোর আনুষ্ঠানিক কোনো কিছু আমরা পাইনি। তাদের ব্যক্তিগত ফোনালাপের একটি অংশ হিসেবে তা প্রচার পেয়েছে।
ছাত্রলীগের পদবাণিজ্যের অভিযোগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে তাদের অবস্থান জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, পদবাণিজ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত অংশে কতজনকে পদ দেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদে ৩০১ জন নেতা। এর বাইরে কতজন আছে, আমরা জানি না- দপ্তর সেল এটি বলতে পারবে। জাতীয় সম্মেলনের জন্য প্রতি ইউনিটের আলাদা আলাদা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। প্রত্যেক ইউনিট থেকে সম্মেলনের ডেলিগেট ও কাউন্সিলর নির্ধারণ করার জন্য আমাদের উপ-কমিটি রয়েছে। যেখানে কোনো ধরনের কোনো কমিটি নেই, সেখান থেকেও যেন তারা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বৈধভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা হবে। সম্মেলনকে সফল করার জন্য আমরা সব ব্যবস্থা করব।
আল নাহিয়ান খান জয় আরও বলেন, করোনা মহামারির সময় অক্সিজেনসেবা, টেলিমেডিসিনসেবা, গরিব ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, রমজানে বিভিন্ন জায়গায় ইফতার বিতরণ এবং বিভিন্ন সময় গরিব শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইবরাহীম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদসহ সংগঠনের অন্য কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
