উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ১৬ হাজারের বেশি বিদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। গত চারদিনে বিপুল সংখ্যক এসব বিদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়। মেক্সিকোর জাতীয় অভিবাসন ইনস্টিটিউট (আইএনএম)-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার দিনের ব্যবধানে মেক্সিকো ১৬ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে বলে সোমবার দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাইগ্রেশন (আইএনএম) জানিয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার অভিবাসী ভেনেজুয়েলার নাগরিক।
আইএনএম জানিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মেক্সিকোর ২২টি প্রদেশে চারদিন অভিবাসীদের আটকের অভিযান চলে। ওই অভিযানে ৪৬টি দেশের ১৬ হাজার ৯৬ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত অভিবাসীদের বেশিরভাগই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশের নাগরিক। এর মধ্যে ভেনেজুয়েলার ৪ হাজার ৯৬৮ জন, গুয়েতেমালার ২ হাজার ৯৮৭ জন, নিকারাগুয়ার ১ হাজার ৩৮৫ জন, হন্ডুরাসের ১ হাজার ৩১১ জন এবং ১ হাজার ২৮৫ জন ইকুয়েডরিয়ান।
উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সরকারি এই সংস্থাটি বলেছে, অভিবাসীদের আগমনের কারণে তারা আগুয়াসকালিয়েন্টেস, চিয়াপাস, দুরাঙ্গো, হিডালগো, পুয়েব্লা, সান লুইস পোটোসি, ভেরাক্রুজ এবং জাকাতেকাস-সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে তাদের কর্মকাণ্ড ও পরিষেবা বাড়িয়েছে।
এছাড়া অভিবাসীরা পাচারকারী এবং ক্রমবর্ধমান ঠান্ডা তাপমাত্রা-সহ নানা বিপদের সম্মুখীন হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী ক্রসিংয়ের মুখে পড়েছেন এবং এই ধরনের অবৈধ সীমান্ত পারাপার ঠেকাতে কার্যত লড়াই করছেন।
এরপরই মার্কিন কর্তৃপক্ষ গত মাসে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এতে মেক্সিকো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা কিছু ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মেক্সিকোর সাথে সম্মত হওয়ার কথা জানায় ওয়াশিংটন।
এরপর থেকে হাজার হাজার অভিবাসীকে মেক্সিকোতে অন্য কোথাও খারাপ অবস্থায় ক্যাম্পিং করতে দেখা গেছে। ওক্সাকা প্রদেশে প্রায় ১২ হাজার অভিবাসীকে কাঠের ক্রেটে, ফুটপাতে এবং বাসিন্দাদের বাড়ি ও বাড়ির উঠোনে ঘুমাতে দেখা গেছে। এসব অভিবাসীদের বেশিরভাগই ভেনেজুয়েলা থেকে সেখানে গিয়েছে।