মেট্রোরেলের ডিপোর ভূমি উন্নয়নে ৬০৭ কোটির চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের ডিপোর ভূমি উন্নয়নে চুক্তি

মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (জাপান) এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের (বাংলাদেশ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮.৭১ একর এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এই চুক্তি মূল্যের পরিমাণ ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএমটিসিএলের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মাসাকাজু কনিশী।

universel cardiac hospital

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এটা অনেক বড় প্রকল্প। এর মোট ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। আজ থেকে প্রথম ফেইজের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপো ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। আমি এই কাজের সাফল্য কামনা করছি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এই চুক্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোলের ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। জাপান বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বাংলাদেশ জাপানের সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে।

চুক্তি অনুযায়ী জানা গেছে, ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হবে। এই কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এই এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ ২ এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও ম্যাকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এই ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে।

৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যের মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯১০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি লাইন-১ এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড।

শেয়ার করুন