প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যশোরবাসীর কাছে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি সবার কাছে ভোট চান। তিনি বলেন, শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য যা যা দরকার, সরকার কাজ করবে। আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই।
জাতির জনক ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় বলেন, আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে জয়যুক্ত করবেন। আপনারা যা চাইবেন, আমি তার চেয়ে বেশি দেব। এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর কথায় সমর্থন দেন।
যশোরে জনসভা করতে পেরে আনন্দিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোরে আমার নাড়ির টান আছে। এখানের মাটিতে আমার নানা শেখ জহুরুল হক শুয়ে আছেন। তিনি যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর, তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতো খারাপ ছিল যে, এখানে আসা যায়নি। আমার নানাকে এখানে দাফন করা হয়েছে। এখানে নানার স্মরণে আইটি পার্ক করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার সময়ে দেশের ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতেন। আমরা তা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র মানুষ ছিল ২৫ ভাগ। তা আমরা ১০ ভাগে কমিয়ে এনেছি। কারণ, আওয়ামী লীগের সরকার মানুষের জন্য কাজ করে।
যশোরের ভবদহ সমস্যার সমাধানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এক লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। অভয়নগরে ৫০০ একর জমিতে ইপিজেড নির্মাণ ও মনিরামপুরে দারিদ্র্য বিমোচনে জহুরুল হকের নামে পল্লি একাডেমি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। জনগণের সেবা করার জন্যই বোধ হয় আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। বিএনপির আরেক নাম বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।