প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোর জেলা স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বক্তৃতা দেবেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা উপলক্ষে যশোর এখন একটি উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। জেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের মাঝে উৎফুল্লতা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এ জনসভাকে কেন্দ্র করে শুধু যশোরের নেতাকর্মীরাই নয় বরং গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী প্রায় তিন বছর পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানানের পাশাপাশি রঙিন খিলান ও তোরণ দিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সজ্জিত করা হয়েছে। নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে দাড়াটানা মোড়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, গারিবশাহ্ রোড ও অন্যান্য এলাকা ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করেছে।
যশোরে এই জনসভার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধানের দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু হবে। এরপর তিনি ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে এবং ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় সভাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেবেন। এসব জনসভায় দলীয় সভাপতি তার ভাষণে জনগণের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদেরও নতুন বার্তা দেবেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, এই জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্য তাদের রয়েছে। যশোরের বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের উপজেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এই জনসভায় যোগ দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে একদিনের সফরে আজ যশোর যাবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমির প্রেসিডেন্ট প্যারেডে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী বিএএফ একাডেমিতে পাসিং আউট কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যশোর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ও জনসভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।