শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল। সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৪ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা অবস্থান চতুর্থ।
বৃহস্পতিবারের (২৪ নভেম্বর) পর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও চতুর্থ স্থানে রয়েছে। একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
এছাড়া পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে একিউআই ৩৫৩, ২১৭ এবং ১৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একইভাবে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
ক্রমাগতভাবে বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷
বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, দীর্ঘকাল ধরে দূষিত বায়ু শ্বাস নেওয়া ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, শ্বাস কষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে, নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।