চিকিৎসকরা সম্মেলনে, মর্গে লাশ পড়ে ছিল ৩৯ ঘণ্টা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

লাশ উদ্ধার
ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার ৩৯ ঘণ্টা পর এক কিশোরের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। লাশ রাখার হিমাগার না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে কিশোরের পরিবার। পুলিশ বলছে, হাসপাতালে চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় যথাসময়ে লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি।

মৃত কামরান আখঞ্জী (১৪) হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মুখকান্দি গ্রামের আবদুল হাই আখঞ্জীর ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কামরানের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৩৯ ঘণ্টা নয়, ময়নাতদন্ত করতে ২৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে। লাশ গতকাল শুক্রবার রাতে আনা হয় হাসপাতালে। এ সময় আমরা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলনে ঢাকায় ছিলাম। এ ছাড়া পুলিশও সুরতহাল প্রতিবেদন দিতে দেরি করেছে। আজ লাশটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিলম্ব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ২৫ থেকে ২৭ জন চিকিৎসক স্বাচিপের সম্মেলনে ঢাকায় গিয়েছিলেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলেন। যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনিও ছিলেন অনুপস্থিত। এ কারণে লাশের ময়নাতদন্ত আজ করতে হয়েছে।

থানা-পুলিশ বলছে, চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণেই যথাসময়ে ময়নাতদন্ত হয়নি। বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হাসান খান বলেন, লাশের সঙ্গেই সুরতহাল প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। মর্গে লাশের সঙ্গে একজন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক ছিলেন।

শেয়ার করুন