প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল জাপান। সে চমকের কারণেই কিনা, কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে আলাদা একটা প্রত্যাশাই ছিল সবার—সেটি জাপানের জয়। কিন্তু আগের ম্যাচে স্পেনের কাছে ৭ গোল খাওয়া কোস্টারিকার বিপক্ষে ১–০ গোলে হেরে গেছে জাপান। আজকের ম্যাচে জয় পেলেই যেখানে জাপানের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যেত, সেখানে হেরে গিয়ে নিজেদেকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে ব্লু সামুরাইরা।
গোটা ম্যাচে গোলে একটি শট নিয়ে সেটিই কাজে লাগিয়ে বাজিমাত কোস্টারিকার। জাপানের এই হারে নিশ্চিতভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে জার্মানি। জাপানের হার যে তাদের জন্য একটা লাইফ লাইন।
আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে শুরু থেকেই কিন্তু আধিপত্য ছিল জাপানের। আক্রমণের পর আক্রমণে কোস্টারিকার রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেললেও কাজের কাজটা জাপান করতে পারেনি। কোস্টারিকা দলকে ম্যাচের বেশিরভাগ সময়জুড়েই জাপানিরা কোস্টারিকানদের বলের পেছনে ছুটিয়েছে। কিন্তু এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ী দল কোস্টারিকা!
জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ জিতে দলে পাঁচটি বদল এনেছিল জাপান। শুরু থেকেই কোস্টারিকার রক্ষণে তেড়ে ফুরে আক্রমণে গেছে জাপান। কোস্টারিকা যেন প্রথম থেকেই স্পেন ম্যাচের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে রক্ষণটাকে আঁটসাঁট করার চেষ্টায় ছিল। জাপানের আক্রমণগুলো বারবার আছড়ে পড়েছে কোস্টারিকার রক্ষণের সামনে।
তবে প্রথমার্ধের খেলায় বলার মতো তেমন কিছুই নেই। জাপান বেশি আক্রমণ করলেও দুই দলের খেলাই দর্শকদের বিরক্তি উদ্রেকের জন্য যথেষ্ট ছিল। এবারের কাতার বিশ্বকাপে এটিই প্রথম ম্যাচ, যে ম্যাচে কোনো দলই গোল পোস্ট লক্ষ্য করে একটিও শট নিতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষ ভাগে কোস্টারিকা কিছুটা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে জাপানি সীমানায় আক্রমণে গেছে ওই পর্যন্তই।
এ অর্ধে আক্রমণগুলোর মধ্যে জাপান দুই বার কোস্টারিকার সীমানায় গোল হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু কোস্টারিকার অভিজ্ঞ গোলকিপার কেইলর নাভাসকে সেগুলো বিব্রত করতে পারেনি।