আজ (রোববার) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভা বসছে। এ সভায় পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ গঠনের প্রস্তাব উঠছে। নিকার সভার পরেই দুপুর ১টার দিকে বসছে সচিব সভা।
দুটি সভায়ই উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা দুটি আগে সচিবালয় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে স্থান পরিবর্তন হয়। এখন সভা দুটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। নিকার ও সচিব সভা নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। নিকার সভার আলোচ্যসূচিতে দেখা গেছে- এবারের সভায় মোট ছয়টি প্রস্তাব উঠছে। ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ প্রশাসনিক বিভাগ সৃজন ছাড়াও রয়েছে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর করে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণ এবং ‘ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্প’কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্প’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব উঠছে।
এর আগে গত ২ জুন নিকার বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওই মিটিংয়ের আলোচ্যসূচিতে ছিল ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব। কিন্তু পরে সেই মিটিং স্থগিত হয়। এরই মধ্যে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
নতুন আরও দুটি বিভাগ হলে দেশে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। এর আগের সব বিভাগের নাম স্থানীয় শহরের নামে হলেও এবার প্রথমবারের মতো দুই নদীর নামে দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে।
এক বছরেরও বেশি সময় পরে সচিব সভা হচ্ছে। এর আগে গত বছরের ১৮ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়েছিল। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সচিব সভায় মূলত করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচিবদের দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিশ্লেষণে যে খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সচিবদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন।
এছাড়া নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। সচিব সভার আলোচ্যসূচিতে আরও আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা; কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারের জোগান নিশ্চিত করা; পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে করণীয় ঠিক করা; সরকারি কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করা; সরকারি সেবা দিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারবিষয়ক পরিকল্পনা; ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিষয়ে পর্যালোচনা এবং সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিয়ে আলোচনা।