বাংলাদেশ-লুক্সেমবার্গ রুটে ‘সরাসরি’ বিমান চলাচল করবে। এজন্য বাংলাদেশ ও লুক্সেমবার্গের মধ্যে সইয়ের লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ চুক্তির ফলে উভয় দেশেই বিমান চলাচল করতে পারবে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও ভালো হবে। এখন চুক্তি হবে। এরপর তারা বাজার সম্প্রসারণ করার চিন্তা-ভাবনা করবে। তারপর তারা বাস্তবায়নে যাবে।
এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ বিমান (রহিত বাংলাদেশ বিমান অর্ডার. ১৯৭২ পুনর্বহাল এবং সংশোধন) আইন ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হচ্ছে কসোভোর সঙ্গে
বাংলাদেশ ও কসোভো সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর ফলে এখন থেকে কসোভোতে যেসব কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট নিয়ে যাবে তাদের আর ভিসা লাগবে না।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক মন্ত্রিসভার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এতে ব্রুনাই দারুসসালাম এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে। এতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। দেশটি প্রবাসী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের চুক্তি হয়েছে। এখন থেকে আমরা লোকজন পাঠাতে পারবো। কত লোক নেবে, কীভাবে নেবে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তারা দেখছে কোন কোন খাত থেকে লোক পাঠানো যাবে।
গতকাল (রোববার) আপনি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক খাতের প্রকৃত অবস্থা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরই মধ্যে আমরা ব্যাংকের ওদেরকে বলে দিয়েছি তারা এটার সিনারিও…(জানানোর জন্য)। আপনারাও বলছেন, আমার কাছে বেশ কয়েকটা ভিডিও আসছে, এগুলোর যথার্থতা যাচাই করে যদি হয়, কেন হয়েছে, কী হলো, এটা উনারা জানিয়ে দেবেন।