কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই তিন মাসের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে ব্যর্থ হলে কমিশনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা পৃথক তিন মামলায় এক আসামির জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আদালতে হলফনামাও দিতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শান্তিনগর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। কেন মোহাম্মদ আলীকে জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
পৃথক রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়। আদালতে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম।
হাইকোর্ট তিন মামলায় মোহাম্মদ আলীকে জামিন দেননি। তিন মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, বেসিক ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৬টি মামলা করে দুদক, যেখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে, যার বিপরীতে ৪২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ।