আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সামগ্রিক পরিস্থিতি, ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের আচরণ পর্যালোচনা করে সোমবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) কমিটির একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, সাধারণত বিগত সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হলেও বারবারই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ফলে, নতুন করে প্রথমবার সরকারের দায়িত্বশীল পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে—এমন বক্তব্যের পর সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন দলের নেতারা। সোমবার বৈঠকে প্রত্যেক সদস্যই জানিয়েছেন, সরকারের আচরণ সন্দেহজনক।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে না, নয়া পল্টনে সমাবেশ হবে। এখানে লক্ষণীয়, আমরা বিগত দিনে বহুবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আবেদন করেছি। কিন্তু সব সময় আমাদের পল্টনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন সব সময়ই নয়া পল্টনে মিটিং করি। আজকে হঠাৎ করে কী হয়ে গেলো যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হলো! এতে দুরভিসন্ধি আছে বলে মনে করি।’
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে ২৬টি শর্তসাপেক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল বলেন, ‘এই প্রথম সসম্মানে পুলিশ অনুমতিপত্র আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। এটাই সন্দেহজনক।’
পরে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, নয়া পল্টনেই হবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ।’
রিজভী অভিযোগ করেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ মূলত জনস্বার্থের সমাবেশ। এটি হারানো গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সমাবেশ।