ঢাকা মহানগরে চলাচলরত ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনগুলো ক্রটিমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নির্দেশনা অনুযায়ী সময় শেষ হওয়ার পর ১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে সরকারের এই সংস্থাটি।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআরটিএর উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. হেমায়েত উদ্দিন।
হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমরা যানবাহনগুলো ত্রুটিমুক্ত করতে যানবাহন মালিকদের ৪৫ দিন সময় দিয়েছি। কাল থেকে আমরা ঢাকা শহরে অভিযান পরিচালনা করব। আমাদের ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিহনের সৌন্দর্যের ওপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু বাস/মিনিবাসের রংচটা, জরাজীর্ণ, জানালা/দরজার কাঁচ ভাঙা, সামনে/পেছনের লাইট ভাঙা। কোনো কোনো বাস থেকে কালো ধোয়াও নির্গমন হচ্ছে। তাছাড়া কিছু বাস/মিনিবাসে ভেতরে ফ্যান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ভাঙা ও অচল দেখা যায়। অধিকন্তু সিটের কভারও অপরিষ্কার। অস্বাস্থ্যকর ও ত্রুটিযুক্ত যানবাহনে যাত্রীদের চলাচলে নানাবিধ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা-২৫ অনুযায়ী ত্রুটিমুক্ত যানবাহন চলাচলের বাধ্যবাধকতা এবং এর ব্যত্যয়ে আইনের ধারা ৭৫ অনুযায়ী কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট মোটরযান মালিকদেরকে আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে যানবাহন ত্রুটিমুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আগামী ৩০ নভেম্বরের পর এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।