প্রথম ম্যাচ জিতেই বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছিল ফ্রান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেষ ম্যাচ ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সেই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে দ্বিতীয় সারির লই নামিয়েছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিয়ের দেশম।
এমবাপে, জিরু, গ্রিজম্যানসহ নিয়মিত ৮ জনকে বাইরে রেখে একাদশ সাজিয়েছিলেন সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন কোচ। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের পরখ করে নেওয়ার জন্যই তিনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচটিতে ১-০ গোলে হেরে গেছে আফ্রিকার দেশটির কাছে।
তিউনিসিয়ার প্রথম শর্ত ছিল জিততে হবে। ভাগ্যের বাকিটা নির্ভর করছিল গ্রুপের অন্য ম্যাচের ওপর। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতে যাওয়ায় শেষ ষোলতে ওঠার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় তিউনিসিয়ার। চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েও তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়দের চোখে পানি।
কারণ, জয়েও তাদের ওঠা হলো না পরের রাউন্ডে। তবে সান্তনা একটাই তারা বিদায়ী ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো তিউনিসিয়া।
শেষ ষোলতে উঠতে হলে জয়ের বিকল্প নেই-যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে তিউনিসিয়া। সফল হয় আফ্রিকার দেশটি। ৫৮ মিনিটে ফ্রান্সের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের দুর্বলতায় এগিয়ে যায় তিউনিসিয়া। একজন ডিফেন্ডারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে জালে জড়িয়ে নে ওয়াহবি খাজরি।
পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স কোচ ৬৩ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপেসহ ৩ জন খেলোয়াড়কে মাঠে নামান। ৭৩ মিনিটে আক্রমণের শক্তি আরো বাড়াতে মাঠে নামান গ্রিজম্যানকে। তারকারা মাঠে নামার পর আক্রমণের ধার বেড়ে যায় চ্যাম্পিয়নদের।
৮২ মিনিটে ডেম্বেলের শট তিউিনিসিয়ার গোলরক্ষক ধরলে এবং ৮৫ মিনিটে ডেম্বেলের ক্রসে এমবাপের শট বাইরে গেলে ম্যাচে ফেরা হয়নি ফ্রান্সের। এমবাপের আরেকটি শট তিউনিসিয়ার গোলরক্ষক রুখে দেন ৮৮ মিনিটে।
৯০ মিনিটে কোলো মুয়ানুর শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে। ইনজুরি সময়ে একের পর এক আক্রমণ করে ফ্রান্স। ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে গ্রিজম্যান গোল দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআর এ অফসাইড চেক করে গোলটি বাতিল করা হয়। দ্বিতীয় সারির দল নামানোর খেসারত হিসেবে ম্যাচটি হারতে হলো ফ্রান্সকে।
বুধবার কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। খেলার শুরু থেকে কিছুটা প্রাধান্য ছিল আফ্রিকার দেশটির। দুই মিনিটের মধ্যে তারা বলও পাঠিয়েছিল ফ্রান্সর জালে। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা গোল হয়নি। ধীরে ধীরে ফ্রান্স খেলায় ফিরে আসে। শুরুতে বল পজেশনে তিউনিসিয়া এগিয়ে থাকলেও সময় গড়ানোর সাে সাথে ফ্রান্সও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে।
১৭ মিনিটে তিউনিসিয়ার সামনে গোলের প্রথম সুযোগ এসেছিল। তবে বক্সের সামনে একাধিক ডিফেন্ডারের বাধার কারণে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি বেনসিলমানে। ২৫ মিনিটে ফ্রান্সের ডান দিক থেকে আসা একটি ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন কিংসলে কোম্যান। কিন্তু বল চলে যায় বাইরে।
এরপরে পরপর আক্রমণ সানায় তিউনিসিয়া। ৩০ মিনিটে বেল সিলমানের হেড আটকে ফরাসি গোলরক্ষক স্টিভ মানডানডা। ১০ মিনিট পর আবার ফ্রান্সের ত্রাতা হন গোলরক্ষক। এবার তিনি ফিস্ট করেন তিউনিসিয়ার ওয়াহবি খাজরির শট।