‘দেশে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, বিশ্বব্যাপীই অর্থনীতিতে একটা সংকট বিরাজ করছে। অস্বীকার করছি না- এটা আমাদের দেশেও আছে। তবে আমাদের দেশের আকাশে যে কালো মেঘ সেটি এখন সরতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী মাসে তা সরে যাবে। দেশে যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল তা এখন অনেকটা কমে এসেছে। আগামী মাসে তা আরও কমবে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

এর আগে অতিথিরা আইনজীবী সমিতির অভ্যন্তরীণ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং আইনজীবীদের সন্তানদের মধ্যে এককালীন বৃত্তি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. সামছুল হক।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি আগামীতে পুরোপুরি কমে যাবে। এটা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নিরলস চেষ্টার কারণেই সম্ভব হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন। মানুষের কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা কাজ করছি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, স্বল্পকালের জন্য হলেও সিলেটে হাইকোর্ট ব্রাঞ্চ চালু হওয়া উচিত। যদি সিলেটে হাইকোর্ট ব্রাঞ্চ হয় তাহলে এখানকার মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি দ্রুত নিশ্চিত হবে।

তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটে হাইকোর্ট ব্রাঞ্চ স্থাপনে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে স্থানীয় আইনজীবীদের আশ্বস্ত করেন।

বিলম্বিত বিচার ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সমস্যা জায়গা জমি সংক্রান্ত। বিশেষ করে প্রবাসীদের জায়গা জমি তাদেরই দুষ্ট কিছু আত্মীয় স্বজন বিভিন্নভাবে দখলের চেষ্টা করে থাকে। এরকম মামলা এখানে বেশি হয়। তাই জায়গা জমি ও প্রবাসীদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সিলেটে একটা প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আইনজীবীদেরও কাজ করা উচিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, একটি পাখির যেমন দুটি ডানা থাকে তেমনই বিচার বিভাগেরও দুটি ডানা হচ্ছে বিচারক ও আইনজীবী। সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। কোনো দেশ কতটা উন্নত তা সে দেশের বিচারব্যবস্থা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। তাই ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচারক ও আইনজীবীদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী, মহানগর দায়রা জজ একিউএম নাছির উদিদন, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন ও সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

শেয়ার করুন