বান্দরবানে নানা আয়োজনে উদযাপন হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে র্যালি উদ্বোধন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক। এরপর বান্দরবানে বসবাসরত ম্রো, ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমীসহ ১১টি বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব পোশাক ও বিভিন্ন সাজে সজ্জিত বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে।
পরে টাউন হলে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা শান্তি চাই। এলাকায় কোনো অশান্তি চাই না। আমরা এগিয়ে যেতে চাই। ১৯৭১ সালে পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার হার ছিল দুই শতাংশ, বর্তমানে ৭১ শতাংশ। শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন অবকাঠামো হয়েছে।
দুর্গম এলাকা সোলার বিদুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির সিংহভাগ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার মো. জিয়াউল হক, সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহমুদুল হাসান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মো. শফিকুর রহমান, বান্দরবান ডিডিএলজি লুৎফুর রহমান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবী, সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী প্রমুখ।
এছাড়া বান্দরবান রাজার মাঠে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, গরিব দুস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিকেল তিনটায় হবে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে সাউথ এশিয়ান কারাতে প্রতিযোগিতায় পদকপ্রাপ্ত বিজয়ীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।