দ্বিতীয় রাউন্ড আগেই নিশ্চিত ছিলো। ব্রাজিল কোচ তিতে পুরো দলটাই বলতে গেলে বদলে দিলেন। এডার মিলিতাও এবং ফ্রেড আগের ম্যাচের একাদশে থাকলেও তারা মূলত প্রথম একাদশের ফুটবলার নন। তাদের সহ ধরলে পুরো ১১জনই দ্বিতীয় সারির দল।
আফ্রিকান দেশ ক্যামেরুনের বিপক্ষে এর আগের ৬ দেখায় একবার হারতে হয়েছিলো ব্রাজিলকে। ৬ বারের দেখায় ৫টিতেই জয়, ১টিতে হেরেছিলো তারা। বিশ্বকাপে দু’বারের মুখোমুখিতে ব্রাজিল জিতেছিলো দুইবারই। ১৯৯৪ সালে ৩-০ এবং ২০১৪ সালে ৪-১ গোলে ক্যামেরুনকে হারিয়েছিলো ব্রাজিল।
এই দলটির বিপক্ষে হেসেখেলেই হয়তো জিততে পারবেন, ভেবেছিলেন কোচ তিতে। তবে, তার দলের ফুটবলাররা ২৯বার ক্যামেরুনের গোলমুখে আক্রমণ করেছিলো একটিমাত্র গোলের জন্য। কিন্তু একবারও বল প্রবেশ করাতে পারলো না আফ্রিকান দেশটির জালে। উল্টো ৯২তম মিনিটে গোল হজম করতে হয় ব্রাজিলকে।
ভিনসেন্ট আবু বকরের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যামেরুন। সে সঙ্গে ইতিহাসও গড়ে ফেলে ক্যামেরুন। প্রথম কোনো আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে হারানোর কৃতিত্ব দেখালো ক্যামেরুন।
বিশ্বকাপের মাঠে এর আগে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে মোট ৭ বার মুখোমুখি হয়েছিলো ব্রাজিল। ঘানা, মরক্কো, আইভরি কোস্ট, আলজেরিয়া, জায়ারও এর আগে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিলো সবগুলো ম্যাচে। এই প্রথম বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে আফ্রিকান দেশ হিসেবে জিতলো ক্যামেরুন।
এ নিয়ে ১৯৯৮ সালের পর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নরওয়ের কাছে শেষবার হেরেছিলো ব্রাজিল। এরপর গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের টানা ১৭ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙলো ক্যামেরুন। তবে, বিশ্বকাপের মঞ্চে ২০ বছর পর প্রথম জয় পেলো ক্যামেরুন। আর ১৯ বছর পর ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় পেলো তারা। ২০০৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে ক্যামেরুনের কাছে সর্বশেষ হেরেছিলো ব্রাজিল।
ক্যামেরুনই একমাত্র দেশ, যারা তিনটি বড় ক্রীড়া ইভেন্টে ব্রাজিলকে হারিয়েছে। ২০০০ সালে অলিম্পিক গেমস, ২০০৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ এবং এবার ২০২২ সালের বিশ্বকাপ।