বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য কয়েকটি কোম্পানি আবেদন করেছে। হয়তো সামনে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। বিদ্যুতের দাম বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনই (বিইআরসি) নির্ধারণ করবে। তবে কালক্ষেপণ যেন না হয় সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করতে পারে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর এবং ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর জিওসায়েন্সেস অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (বিজিআর, জার্মানি) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ সংকটের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন না এলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। বিশ্ববাজার এমনিতেই উত্তাল, সামনের দিনে কী হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে বাইরে থেকে ডিফারেন্ট ফুয়েল আসছে, কয়লা আসছে, সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।
গ্যাসের বিষয়ে তিনি বলেন, শীতকালে গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে আশা করছি। আমরা গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিকে প্রাধান্য দিচ্ছি। বাসা-বাড়িতে হয়তো সরবরাহ কমে যাবে। বিকল্প হিসেবে এলপিজি রয়েছে। এছাড়া আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস মিটারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।