পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ, বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
ফাইল ছবি

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। নভেম্বর থেকেই জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। সর্দি, জ্বর, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। জেলার পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই-তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।

হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এরপর রয়েছে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট। জেলার সদর আধুনিক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসে ডায়রিয়া রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন শিশু ২১৬ জন ও ৬৪ জন নারী-পুরুষ। অন্যান্য রোগে শিশু ৫২৯ ও ১ হাজার ১৩৪ জন নারী-পুরুষ। নভেম্বরে হাসপাতালে মোট রোগী ছিলেন ৩ হাজার ৬৪৮ জন। ডিসেম্বরেও ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।

ঠান্ডাজনিত রোগে শিশু মৃত্যু নেই বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন রফিকুল হাসান। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাঁশি, হাপানিতে ভুগছেন। ইদানিং হাসপাতালের শিশু রোগী বেড়েছে। আমাদের চিকিৎসকরাও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কর্মসময়ের বাইরেও তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সবার সহযোগিতায় ভালোভাবে চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয়রা জানায়, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। এ সময়টায় ঘরের ফ্লোর, দরজাসহ যেকোনো আসবাবপত্র স্পর্শ করলে বরফের মতো ঠান্ডা মনে হয়। সকালে খড়-কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। সকাল ১০টা থেকে মূলত বাড়তে থাকে তাপমাত্রা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ (০৯ ডিসেম্বর) সকালে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

শেয়ার করুন