ভারতকে এর আগেও ওয়ানডে সিরিজ হারানোর রেকর্ড আছে। ২০১৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ঝলকে এশিয়ার পরাশক্তিদের মাটিতে নামিয়েছিল টাইগাররা।
ওই সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওয়ানডেতে আর পারেনি। ২-১ ব্যবধানে হার নিয়ে সিরিজ শেষ করেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।
এবার ভারতকে আরও একবার বাগে পেয়েছে টাইগাররা। প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে নিশ্চিত করেছে সিরিজ। আজ (শনিবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে নামবে দুই দল।
এই ম্যাচটি জিততে পারলে প্রথমবারের মতো ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তি গড়বে লিটন দাসের দল। যা কিনা হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস।
২০১৫ সালে সিরিজের ৩টি ম্যাচই হয়েছিল মিরপুরে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জেতে ৭৯ রানে, পরেরটিতে জয় ৬ উইকেটের। তবে শেষ ওয়ানডেতে টাইগারদের ৭৭ রানে হারিয়ে দেয় ধোনির দল।
এবারের সিরিজটিতে অবশ্য এত সহজে জয় পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ১ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ম্যাচও ছড়িয়েছে প্রবল উত্তেজনা। শেষ বলে এসে ৫ রানের জয় পায় লিটন বাহিনী।
২০১৫ সালে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। তবে এবার ভালো সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। ভারত দল এরই মধ্যে বড় ধাক্কা খেয়েছে। চোট পেয়ে ফিরে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাসহ তিন ক্রিকেটার।
রোহিতই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেষদিকে নেমে অসাধ্য সাধন করতে চেয়েছিলেন। তার না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় অ্যাডভান্টেজ। সামনে যখন হোয়াইটওয়াশ লজ্জা, ভারত তো মানসিকভাবেও পিছিয়ে থাকবে এই ম্যাচে!