ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি শান্তি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব নাকচ করে বলা হয়, কিয়েভকে নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। জেলেনস্কি তাঁর শান্তি প্রস্তাবে সম্পূর্ণ রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি করেছিলেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, নতুন বাস্তবতাগুলোর মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে জাতিসংঘসহ অধিকাংশ দেশ একে অবৈধ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
পেসকভ আরও বলেন, যুদ্ধের সময় যে বাস্তবতা সামনে এসেছে, ইউক্রেনকে তা মেনে নিতে হবে। বাস্তবতার মধ্যে রয়েছে নতুন এলাকা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সে বিষয়টি। এসব এলাকায় গণভোটের মাধ্যমে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব বাস্তবতা মেনে না নিলে কোনো ধরনের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
এ ছাড়া জেলেনস্কি যে তিন ধাপের প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে এ বছরের শেষ দিক থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
অবশ্য ইউক্রেন থেকে যেসব অঞ্চল রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা নিন্দা করেছে। তারা বলছে, বন্দুকের নলের মুখে এসব করা হয়েছে। তবে এসব অঞ্চল অন্তর্ভুক্তির পর থেকে রাশিয়া বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে শান্তি আলোচনা নিয়ে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আলোচনার নামে কালক্ষেপণের অভিযোগ করছে ইউক্রেনের মিত্ররা। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়াকে অবশ্যই আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং দখল করা সব অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। গত সোমবার জি-৭ নেতাদের কাছে জেলেনস্কি তাঁর এই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বৈশ্বিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানান। সম্মেলনে কিয়েভের ১০ দফা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। এসব দফার মধ্যে ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহার এবং কিয়েভের পক্ষ থেকে কোনো আঞ্চলিক ছাড় না দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।