১৬ বছর পর বিএনপি কার্যালয়ে অলি আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংগৃহীত ছবি

নয়াপল্টনে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।

প্রায় ১৬ বছর পর মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ে যান তিনি। অলি আহমদ বিএনপি কার্যালয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। সেখানে কর্মচারীদের চেয়ারে বসেন, চা পান করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিএনপি নেতাদের সহমর্মিতা জানান।

অলি আহমদ বলেন, সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, অন্য রাজনৈতিক দলের সহাবস্থান মানে না, তা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানোর মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে। বিশ্বের কাছে সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে হামলা, লুটপাটের বর্বরতা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা। তাই করা হবে। সরকার যত ষড়যন্ত্র করুক তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া হবে না। বিএনপিকে আরও শক্তিশালী হয়ে কর্মসূচি দিতে হবে। সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। সরকারের সেফ এক্সিটের সময় শেষ। জনগণ বিচার করবে।

এই নেতা বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ১০ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এলডিপি নেতা নেয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, মোর্শেদ, সাকলায়েন, কফিল উদ্দিন, আবুল হোসেন ভুঁইয়া, হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন অলি আহমদ। তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০০৬ সালে মতবিরোধের কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নতুন দল গঠন করেন। এরপর তিনি গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনেকবার গেছেন। ২০১৪ সালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ২০ দলীয় জোটের এক সমাবেশে গেলেও ভেতরে প্রবেশ করেননি অলি আহমদ। বেগম খালেদা জিয়ার বাইরে অলি আহমেদ একমাত্র নেতা যিনি গাড়ি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের আচরণে আশঙ্কা তৈরি হওয়ার কারণে ১০ ডিসেম্বরের আগে নয়াপল্টনে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হলে ৭ ডিসেম্বর পুলিশ আক্রমণ চালায়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে, অনেককে আহত করে, গ্রেফতার করা হয়, অফিসে লুটপাট চালায়, অসামাজিক মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়। পুলিশ বোমা রেখে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছে।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সভা-সমাবেশের সুযোগ রাখছে না সরকার।

নজরুল বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে আছে। মানুষ এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। বিএনপির ওপর সরকারের আক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেছে। সরকারের ভেতরে অস্থিরতা, দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে।

সরকারকে নোংরা রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করার আহ্বানৎ জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।

শেয়ার করুন