আগামী ১ এপ্রিল থেকে সায়দাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ব্যতীত রাজধানীর ভেতরে কোনো আন্তঃজেলা বাস কাউন্টার থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় আন্তঃজেলা বাসের কাউন্টার থাকায় যানজট ও সমস্যারও সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার ডিএসসিসি নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি মেয়র তাপস।
এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই দেখা যায়, টার্মিনালগুলোর সামনে বাসগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। এর ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়, শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়। ১ এপ্রিল থেকে কোনো বাস রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনালের বাইরে কোনো বাস দাঁড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় ছাতার মতো টিকেট কাউন্টার থাকবে না।
এদিকে শিগগিরই নতুন আরও তিনটি রুটে ঢাকা নগর পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
এর মধ্যে ২৩ নম্বর রুট হলো- ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর-জাপান গার্ডেন সিটি-শ্যামলী-কলেজ গেট-আসাদ গেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-শাহবাগ-মৎস্য ভবন-প্রেসক্লাব-গুলিস্তান (জিরো পয়েন্ট)-দৈনিক বাংলা-রাজারবাগ-কমলাপুর-ধলপুর-যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া-রায়েরবাগ-মাতুয়াইল- সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড। এটি আগামী ৩১ জানুয়ারি চালু হবে।
২৪ নম্বর রুটটি চালু হবে আগামী এপ্রিলে। এটা হলো ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসি ফ্লাইওভার হয়ে এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন এভিনিউ আব্দুল্লাহপুর।
২৫ নম্বর রুটটিও এপ্রিলে চালু হবে। এটা হলো ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-আসাদগেট- মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেইট-শাহিন কলেজ-মহাখালী (ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে)-কাকলি-বনানী ফ্লাইওভার হয়ে রিজেন্সি-এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর।
সভায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুনিবুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।