‘জন্মসনদের তথ্য বদলে আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

জন্মসনদের তথ্য বদল করে একাধিক আবেদন করা শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচটি আবেদন পাওয়া গেছে যারা জন্ম নিবন্ধনের সনদে নাম এদিক-ওদিক করে, সনদের নম্বর ভিন্ন করে একাধিক আবেদন করেছেন। এগুলো যারা করেছেন সকলেই ধরা পড়বেন। কারণ ভর্তির সময় জন্মনিবন্ধন যাচাই করেই ভর্তি করানো হবে। এসব শিক্ষার্থী কোনোভাবেই ভর্তি হতে পারবে না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে প্রতিবছর হতো ভর্তিযুদ্ধ। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া হতো। একটা শিশু ভর্তি হতে এসেই হতাশ হয়ে যেতো। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতো। এখন সেটা হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীর চেয়ে আসন সংখ্যা বেশি আছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কেউ বাদ যাবে না। কারণ শিক্ষার্থীর থেকে আসন বেশি। এখন মেধার সমতা হবে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। এতে সময় ও অর্থ দুটাই সাশ্রয় হয়েছে। এই লটারি শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনছে। যারা এখনও লটারিতে আসেনি, তাদেরও লটারিতে আনার চেষ্টা চলছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও টেলিটকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র দুই লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি।

আর সরকারিতে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়বে গড়ে ৫ দশমিক ৮ জন শিক্ষার্থী। সরকারি স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ হয়েছে সোমবার (১২ ডিসেম্বর)।

শেয়ার করুন