না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
ড. আলাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুম আলাউদ্দিন আহমেদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৪৭ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন; মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৮২ সালে জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস ডিগ্রি এবং ১৯৮৫ সালে জাপানের তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৭ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি ১৯৯২ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৯৮ সালের ১৮ জুলাই থেকে ১৯৯৯ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
তিনি কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ৯ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ১৯৯৯ সালের উপ-নির্বাচনে ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর) বর্তমান কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
ড. আলাউদ্দিন আহমেদ ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও সাবেক এই উপাচার্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে।