‘আমেরিকা-কানাডা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমেরিকা ও কানাডা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতির জনকের সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফেরত দিতে বলি, তারা দেয় না। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

universel cardiac hospital

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। মানবাধিকার নিশ্চিত করে। শুধু বেঁচে থাকাই তো সুরক্ষা নয়। খাদ্যশস্য উৎপাদন করছি। মানুষকে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। করোনায় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি।

গুম-খুন নিয়ে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অনেকে গুম ‍খুন নিয়ে কথা বলে। আর এদেশে গুম-খুনের কালচার তো শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ফাঁসি দেওয়ার সংস্কৃতিও তার। একদিনে দশজনকে ফাঁসি দিয়েছে। হাজার হাজার মা-বোন ও ভাইয়ের কান্না শোনা যায়। কত মানুষকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন! এক বিমানবাহিনীর ৫৬২ জন, সেনাবাহিনীর ২ হাজার অফিসার ও সৈনিক। সে পরিবারগুলো আজও তাদের আপনজনের জন্য কাঁদেন। কই, মরদেহের খবরটাও তো পায়নি। এরপর কোন মুখে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে কথা বলে?

তিনি বলেন, তারা জাতির জনকের খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি? আমার তো মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করতে পারি। জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী কারা মারা গেছে, সেটা নিয়ে ব্যস্ত তারা।

আজকে বুদ্ধিজীবী দিবস আমরা পালন করি। বিএনপির কী কোনো কর্মসূচি আছে? সেটাতে কী বোঝা যায়! জিয়া-এরশাদ-খালেদা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিভিন্ন পদ দিয়েছে।

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।

শেয়ার করুন