মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসের নির্ভুল তালিকা তৈরির কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। কী প্রক্রিয়ায় রাজাকার যাচাই-বাছাই করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাজাকারের তালিকা তৈরির আগে বিধিমালা করা হয়নি।
বিজয়ের ৫২তম বছরে দাঁড়িয়ে আলোচনা চলছে তালিকা করতে গিয়ে কী ধরনের বাধা আসতে পারে। তালিকা তৈরির জন্য গঠিত উপকমিটির সদস্যরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে, কবে প্রকাশ হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
রাজাকারের তালিকা তৈরির জন্য গত এপ্রিলে তিন সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপকমিটির সভাপতি শাজাহান খান। তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। উপকমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।
উপকমিটিকে রাজাকারের একটি নির্ভুল তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলায় জেলায় গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে রাজাকারের তালিকা করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) পাঠানোর কথা উপকমিটির।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত উপকমিটি চারটি বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে রাজাকারের তালিকা তৈরিতে কী কী করা যেতে পারে, তার উপায় খোঁজা হয়েছে। তালিকা করতে গিয়ে কী ধরনের বাধা আসতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাজাকারের তালিকা তৈরির সবশেষ অবস্থা জানতে উপকমিটির তিন সদস্যের সঙ্গে কথা হয়। তিনজনই বলছেন, রাজাকারের তালিকা তৈরি করা কঠিন। দেশ স্বাধীনের এতো বছর পর রাজাকারের তালিকা করতে গিয়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। সে কারণে তালিকা তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরে বহু রাজাকার বিভিন্ন জনের আত্মীয় হয়েছে। পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সামাজিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে ব্যক্তিস্বার্থে সত্য কথা বলবেন না।