বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে অর্জন করতে বা এই দেশটাকে স্বতন্ত্র পরিচয়ে দাঁড় করাতে যে মানুষটি সকল মানুষকে একত্রিত করে একটি সফল গণযুদ্ধ পরিচালিত করেছিলেন, তিনি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়েই আমরা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ছিলাম।
১৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা আয়োজিত বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান আমলের ২৫ বছরে আমাদের শিক্ষার হার প্রায় ১৭ ভাগ ছিল। আজকে আমাদের শিক্ষার হার প্রায় ৭৪%। ঐসময়ে আমাদের গড় আয়ুষ্কাল ছিলো ৪০-৪৫ বছর কিন্তু বর্তমানে আমাদের গড় আয়ুষ্কাল ৭৩%। এই যে পরিবর্তন এটি কিন্তু কোনো ক্ষুদ্র বিষয় না। এটি হলো পাকিস্তান আমলে আমরা যে দুর্দশাগ্রস্ত ছিলাম সেই চিত্র। বর্তমানে পাকিস্তান রিজার্ভ সংকটে ভোগছে কিন্তু আমাদের সেই সংকট নেয়, আমাদের অর্থনীতি তাদের তুলনায় অনেক শক্তিশালী অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিজয় দিবসটা এখনও একটি গোষ্ঠী মন থেকে পালন করে না। এখনও জয় বাংলা তারা বলতে চাই না! অথচ এই বাংলাদেশটা স্বাধীন করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্লোগানটিকে সম্বল বা হাতিয়ার করে লড়াই করেছিলেন সেই স্লোগানটি হলো জয় বাংলা। এই জয় বাংলাকে আমরা দুইটি মাসে বিশেষভাবে উপভোগ করি, একটি হলো মার্চ মাসে এবং অন্যটি হলো ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চ মাসে শুধু এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়, সমগ্র বাংলাদেশে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর প্রেতাত্মারা বা সহযোগিরা বাংলাদেশটাকে দখল করার চেষ্টা করেছিল। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, তারা আমাদের বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ করেছিল, তবে শাসকগোষ্ঠীর অভ্যন্তরস্থ অনেকের দুর্বলতার কারণে এখনও অনেককে আইনের আওতায় আনা যায়নি। ওরা কিন্তু জয় বাংলায় বিশ্বাস করে না, ওরা এখনও জয় বাংলা জয় হিন্দ লুঙ্গি ছেড়ে দ্যুতি পিন ঐ স্লোগানে বিশ্বাস করে, কারণ তাদের কাছে পাকিস্তান এখনও অন্যতম ভালোবাসার জায়গা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দুস।