সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর এবার জাতিসংঘও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটির সমালোচনা করে এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। খবর বিবিসির। এর মধ্যেই টুইটারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ইইউ। এটা নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে গতকাল শুক্রবার এক টুইটে জাতিসংঘ বলেছে, ‘মিডিয়ার স্বাধীনতা কোনো খেলনা নয়।’
জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিং বলেন, সাংবাদিকদের টুইটারে ‘যথেচ্ছভাবে’ স্থগিত করার খবরে তিনি খুবই বিরক্ত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনো খেলনা নয়। মুক্ত গণমাধ্যম গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তিপ্রস্তর এবং ক্ষতিকারক তথ্য বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার।
গত শুক্রবার ইইউ কমিশনার ভেরা জোরোভা ইউরোপের নতুন ডিজিটাল সেবা আইনের অধীনে টুইটারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন। এ আইনে মিডিয়ার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারকে সম্মানের কথা বলা হয়েছে। টুইটে ইলন মাস্ককে আরও সচেতন হতেও বলেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সমালোচনা করায় বেশ কয়েক সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদকও রয়েছেন। শুক্রবার তারা অ্যাকাউন্ট স্থগিত দেখতে পান।
টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া সাংবাদিকের তালিকায় দ্য ইন্টারসেপ্টের মিচা লি. ম্যাশেবলের ম্যাট বাইন্ডার ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অ্যারন রুপার ও টনি ওয়েবস্টারও রয়েছেন। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের একজন মুখপাত্র টুইটারের পদক্ষেপকে ‘সন্দেহজনক ও দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।