পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের (এলিয়েনের) অস্তিত্ব আছে কিনা বা থাকলেও সেগুলো পৃথিবীতে আসে কিনা এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। মূলত মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা একাধিকবার ভিনগ্রহের প্রাণীদের যান (ইউএফও) দেখা পাওয়ার দাবি করার পরই তদন্তে নামেন পেন্টাগনের একদল গবেষক।
দীর্ঘ গবেষণা শেষে মার্কিন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পৃথিবীতে এলিয়েনের কোনো অস্তিত্ব তারা খুঁজে পাননি। এছাড়া ভিনগ্রহের প্রাণীদের কোনো যান পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এমন তথ্য দিয়েছেন পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা রোনাল্ড মোলট্রি।
তিনি জানিয়েছেন, আকাশে, মহাকাশে ও জলে অস্বাভাবিক বস্তু ও এলিয়েনের যান খুঁজতে গিয়ে তাদের কাছে অনেক গুলো রিপোর্ট এসেছে। সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো কিছুর সন্ধান তারা পাননি।
এ ব্যাপারে পেন্টাগনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রোনাল্ড মোলট্রি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত সেসব রিপোর্টে আমি এমন কিছু পাইনি যেটি বলবে যে, পৃথিবীতে এলিয়েন এসেছিল বা এলিয়েন আছড়ে পড়েছিল।’
পেন্টাগনের নবগঠিত অল ডোমেইন এনোমালি রেজ্যুলেশন অফিসের (এএআরও) পরিচালক সিন কির্কপ্যাট্রিক জানিয়েছেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিকভাবে এগিয়ে যেতে চান।
এদিকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা ১৪০ বারের বেশি আকাশে ‘অস্বাভাবিক বস্তুর’ দেখা পাওয়ার দাবি করেছেন এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে জানিয়েছিলেনও। তাদের দেখা বস্তুর মধ্যে রয়েছে বেলুনাকৃতির বিশাল একটি স্তম্ভ। পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এ বিষয়টির তদন্ত চলছে।
এছাড়া এসব বস্তু যুক্তরাষ্ট্র, বাণিজ্যিক কোনো প্রতিষ্ঠান বা রাশিয়া ও চীনের মতো অন্য দেশ তৈরি করেছিল কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা