দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। এক দল টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের নেশায় বুঁদ আর অন্য দলটি ৩২ বছর পর শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর। এমন সমীকরণের সামনে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা আগামী রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে। দুই দলের স্কোয়াডের মোট ৫২ জন ফুটবলারের ভেতর এমন কয়েকজন আছেন যারা দিনের পর দিন মিলেমিশে এক ক্লাবে খেলে যাচ্ছেন। অথচ তারাই ফাইনালের দিন ভিন্ন দলের একে অন্যের হয়ে যাবেন শত্রু।
সবচেয়ে আলোচিত ক্লাব জুটি হচ্ছে মেসি ও এমবাপে। এ দুই ফুটবলারই ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজিতে খেলছেন দেড় মৌসুম ধরে। চলতি মৌসুমে দারুণ সময় পার করছেন দুইজন। এবার বিশ্বকাপ ফাইনালেও তারা চরম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সম্মুখে আসবেন।
চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আলোচিত ডিফেন্ডার হচ্ছেন আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। তার সঙ্গী হিসেবে ক্লাবটির রক্ষণ সামলাচ্ছেন ফ্রান্সের রাফায়েল ভারান। তাই দুই রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরীর লড়াইটাও বেশ জমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার্সের হয়ে খেলছেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের কাণ্ডারি ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। একই ক্লাবের অধিনায়ক হচ্ছেন হুগো লরিস। ক্লাবটি এবার অ্যান্তনিও কন্তের অধীনে বেশ ভালো করছে রক্ষণভাগের ভালো বোঝাপড়ায়। এবার বিশ্বকাপ ফুটবলেও তাই আলাদা নজর থাকবে এ দুজনের ওপর।
চলতি মৌসুমেই পিএসজি ছেড়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছেন এংহেল ডি মারিয়া ও লিয়েন্দ্রো পারেদেস। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন পিএসজিতে তাদের সঙ্গে খেলা আদ্রিয়ান রাবিও। জুভেন্টাসের তিন মিডফিল্ডারের রসায়ন বিশ্বকাপ তাদের নিজ নিজ দলের হয়ে কীভাবে কাজে দেয় সেটি সময়ই বলে দেবে।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি করেছেন আন্তয়েন গ্রিজম্যান। গ্রিজম্যান খেলে থাকেন স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। যে ক্লাবের হয়ে খেলছেন তিন আর্জেন্টাইন রড্রিগো ডি পল, আঞ্জেল কোরেয়া ও নাহুয়েল মলিনা। এ তিন বন্ধু নিশ্চয়ই ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ক্লাস সতীর্থ গ্রিজম্যানের বন্ধুত্ব ভুলতে চাইবেন।
এছাড়াও মেসির সঙ্গে উসমান ডেম্বেলে ও আন্তয়েন গ্রিজম্যানের সম্পর্ক বেশ ভালো। কেননা তারা তিনজনই একসময় একই সঙ্গে খেলেছেন বার্সেলোনায়। তাই তারাও মাঠের খেলায় বন্ধুত্বকে এক পাশে রেখে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়েই মনোযোগী হবেন বেশি।